শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
মো:আলমগীর হোসাইন, শ্রীবরদী -শেরপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মী আর গোলাপ ! না, কোন মানুষের নাম নয়। নাম দুটি হচ্ছে দুইটি পালিত হাতির। প্রায় সপ্তাহখানেক হতে শ্রীবরদীতে অবস্থান করছে এই হাতি দুটি। ওরা একা নয়, ওদের দেখভালের জন্য আছে পাঁচ-পাঁচজন মাহুত। সূদুর বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা হতে হেঁটে হেঁটে হাতি দুটিকে শ্রীবরদী পর্যন্ত আনা হয়েছে। পৌর শহরের তাতীহাটি মহল্লার জলিলিয়া কেরাতুল কোরআন নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে গতকাল রাত্রি যাপন করেছে হাতি দুটি ও তাদের মাহুতগণ। আজ (১ মার্চ) সকালে মাহুতদের সঙ্গে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলতে গেলে তারা কোন তথ্যই দিতে চাইলোনা। অনেক অনুরোধেও ওদের মুখ খুলছিলনা। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রভাব খাটানোতে কিছুটা তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। নিজেদের নাম পর্যন্ত বলতেও এদের বড় দ্বিধা! ওদের ধারণা সাংবাদিককে তথ্য দিলে তাদের এ বাণিজ্যে ভাটা পরতে পারে। এই সব হাতি দিয়ে চলে এক প্রকার বাণিজ্য। স্থানীয় বাজারে গিয়ে গিয়ে প্রতিটি দোকান হতে এরা টাকা সংগ্রহ করে। হাতিকে সেই ভাবেই প্রশিক্ষিত করা, প্রতিটি দোকানে গিয়ে হাতি তার শুড় দিয়ে দোকানিকে সালাম জানায়। এতে কেউ তৃপ্ত হয়ে ১০-২০ টাকা দেয়, তবে ১০ টাকার কম হলে হাতি তা কোনভাবেই গ্রহণ করেনা। এটাকে স্থানীয় দোকানিরা এক প্রকার জুলুম এবং চাঁদাবাজি বলেই মনে করেন। যাযাবর জীবন এদের। যেখানেই ক্লান্তি সেখানেই ওদের ঘর-বাড়ি। তাই স্থানীয় জনগণ মনে করেন, অনেক কষ্টে ভরা এদের জীবন। তাই মানবিক কারণেই স্থানীয় ব্যক্তির বাধা-বিপত্তি ছাড়াই অনায়াসে চলছে তাদের এই ভিন্ন রকম বাণিজ্য।