শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
গোলাম মোস্তফা ফুলপুর প্রতিনিধি: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।কোনও বিড়ম্বনা ছাড়া খুব সহজেই অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে পৌঁছে যায় টাকা। কিন্তু আধুনিক এ সুবিধা সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই অনেক অভিভাবকের।এ সুযোগে প্রতারক চক্র অভিভাবকদের ধোঁকায় ফেলে কখনও নগদের এজেন্ট,আবার কখনও কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে গোপন পিন নম্বর।আর এভাবেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। সম্প্রতি ফুলপুর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তরকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে এভাবেই উপ-বৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। ভুক্তভোগী অভিভাবকদের বলছেন,তাদের ফোনে উপবৃত্তির টাকা আসলে শিক্ষকরা তাদের জানিয়ে দেন।তারা স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে টাকাগুলো তুলে থাকেন।প্রতারকরা তাদের ফোন করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার এজেন্ট, কর্মকর্তা,স্কুলের শিক্ষক পরিচয় দিয়ে একটি পিন নম্বর পাঠায় এবং এটি তারা জানতে চায়।কিন্তু এবার তাদের মোবাইলে একটি ওটিপি কোড পাঠিয়ে তাদের বলা হয়েছে,দ্রুত টাকা পেতে হলে কোডসহ আমাদের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।এভাবে নেওয়া হয় তথ্য।পরবর্তীতে একাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেন টাকা। উত্তরকান্দা গ্রামের অভিভাবক নুরজাহান ও রহিমা খাতুন বলেন,ফোন করে শিক্ষকের কথা বলে মেসেজে আসা নম্বরটা চাইলে দিয়ে দিই।পরে মোবাইল নিয়ে দোকানে টাকা তুলতে গেলে দেখি টাকা নেই।